ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ , ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩ মে মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত সিলেট টেস্ট: বাংলাদেশকে চাপে রেখেই দিনটা নিজেদের করে নিলেন জিম্বাবুয়ে পারভেজের মতো ছাত্রনেতার খুনীরা দেশ পরিবর্তনের আন্দোলনে ছিলো না: ফখরুল এনসিটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবি চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আবারও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র শহীদদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে: নাহিদ যুদ্ধ শুরুর পর সর্বোচ্চ সংখ্যক বন্দি বিনিময় রাশিয়া-ইউক্রেনের ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে গুমের প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে’ ইসরায়েলি জিম্মির নতুন ভিডিও প্রকাশ ফ্ল্যাট বুক করেছি, পরের বছর বিয়ে করতে পারব : বনি ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো বাবরের একই ব্যক্তি সরকার ও দলের প্রধান নয়– প্রস্তাবে একমত নয় বিএনপি নিকারাগুয়ার ২৫০ সরকারি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত দিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদ রুখে দেয়ার আহ্বান জি এম কাদেরের দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম কারিগরি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় লেবাননে নিষিদ্ধ হলো ‘স্নো হোয়াইট’ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার জোট সরকার ছাড়ার হুমকি পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়ালের

‘বিচার বিভাগের ইম্প্রুভমেন্ট আমার করা’, দাবি আনিসুল হকের

  • আপলোড সময় : ২০-০১-২০২৫ ০৫:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০১-২০২৫ ০৫:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন
‘বিচার বিভাগের ইম্প্রুভমেন্ট আমার করা’, দাবি আনিসুল হকের
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে আনা হয় আনিসুল হককে। এসময় এজলাসে থাকা আসামির ডকে দাঁড়িয়ে ছিলেন আনিসুল হক। অন্যান্য মামলার শুনানি চলায় অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বিচারক তাকে ডকে থাকা বেঞ্চে বসতে বলেন।পরে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ আর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের গ্রেফতারি দেখানোর মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক সাবেক এই মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিচার বিভাগের দৈন্যদশা তুলে ধরেন। এসময় তিনি মামলা জটের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন ঢাকায় লক্ষাধিক এনআই অ্যাক্ট মামলা পরিচালনা করার জন্য মাত্র সাতটি যুগ্ম দায়রা জজ আদালত রয়েছে যা মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য অপ্রতুল। 

অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারককে টিনসেড বিল্ডিংয়ে বসে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হয়। গত ১৫ বছরে বিচার বিভাগের তেমন কোনো সংস্কার হয়নি। এসময় আনিসুল হক আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, আমি আইনমন্ত্রী থাকাবস্থায় প্রতি বছর লোকবল নিয়োগের জন্য রিকুইজিশন দিতাম। আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য মাত্র ১৩ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ ছিল। বিচার বিভাগের যত ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে তা আমার করা। তবে আমার একটাই দুঃখ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জন্য আলাদা একটি ভবন করতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ সামনে ভবন নির্মিত হবে এই সংকট আমরা কাটিয়ে উঠবো। এরপর বিচারক আবারও বলেন, সব কথা তো বলা যায় না। একটা টিভি সেন্টারের জন্য যে বাজেট সেই বাজেটও এই মন্ত্রণালয় পায় না। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য কাজ তেমন আগায় না। বিচার বিভাগের উন্নয়নে আমলাতন্ত্র একটা বড় বাধা। এখনো আমরা পুরোনো আইন যেসব ব্রিটিশরা তৈরি করে দিয়েছিল সেসবের মধ্যে আটকে আছি। আইনগুলো আপডেট করা দরকার। দেওয়ানি কার্যবিধি এমন যে একটা দেওয়ানি মামলা দিয়ে ১০০ বছরও ঘুরানো যায়। সারাদেশে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক সিভিল মামলা চলমান। আর বিচারক মাত্র তিনশো জন। এরপর আদালত আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) একই আদালতে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ওই দিন আদালত আসামি আনিসুল হকের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন।এ মামলায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করার অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা ও ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলন অর্থাৎ সর্বমোট ৬৬৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার ১৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ, ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে-এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
৩ মে মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

৩ মে মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের